“সাংবাদিকদের সাধারণত প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে হয়, নির্মোহভাবে তুলে আনতে হয় অতি আবেগীয় গল্প, কাজের সময় হয় দীর্ঘ। ফলে সাদা চোখে দেখলে, এই পেশায় সেই অর্থে আনন্দের তেমন কিছু দেখা নাও যেতে পারে। এরপরেও বহু সাংবাদিক বছরের পর বছর এই পেশায় কাজ করে চলেছেন, নিরলসভাবে তুলে আনছেন লাখো মানুষের গল্প।
আপাতত কোনো সাংবাদিকই পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে নিয়মিত প্রবেশ করেন৷ ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইস্যুকৃত ১৬৭ জন সাংবাদিক এর প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তবুও সাংবাদিকদের সচিবালয়ে ঢুকা অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করাটা তাদের পেশাদার কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করার শামিল বলে আমরা মনে করছি। ”
“গত ৬ ডিসেম্বর টিআইবির একটি অনুষ্ঠানে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি ট্যাগিংয়ের ভয় না করে সিরিয়াস সাংবাদিকতার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়, পারলে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে লেখেন।’
তাই আমরা আশা করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে। প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশে কোন বাঁধা না রাখার জন্য আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করছি। ”